চলো দেখে নেওয়া যাক, কোন বিষয় গুলো মাথায় রাখা উচিত।
১. শিক্ষকদের দক্ষতাঃ শিক্ষক সবসময় যে খুব বড় পন্ডিত ব্যক্তি হতে হবে এমন মানে নাই, অথবা তাকেও অতিতে সরকারি চাকরি পেতেই হবে সেটাও খুব বেশি গুরুত্ত্বপূর্ণ না। যেটা দেখতে হবে তাঁর অভিজ্ঞতা। কারন অভিজ্ঞ মাস্টারমশাই কিন্তু জানেন, ছাত্র ছাত্রীদের সমস্যা কোথায় হতে পারে। নিশ্চই দেখেছো, অনেক সময় একজন অভিজ্ঞ মাস্টারমশাই তোমার মুখের দিকে তাকিয়ে বলে দেন, তুমি বুঝতে পারছো কিনা। দেখে নাও প্রতিষ্ঠানে কারা পড়াচ্ছেন।
২. অনলাইন নাকি অফ লাইনঃ এই বিষয়টা নিয়ে বিতর্ক আছে। অনেকে বলেন অফলাইন সেরা, কেউ আবার উল্টোটাও বলেন। আসলে দুইটি প্লাটফর্মের কিছু ভালো আর খারাপ দিন আছে। অবশ্যই অফলাইনে সামনা সামনি শিক্ষক মহাশয়কে দেখা যায় আর সমস্যার কথা বলা যায়, যেটা অনলাইনে ভার্চুয়াল। কিন্তু যদি সঠিক ভাবে ব্যবহার করা যায় আজকের প্রযুক্তির যুগে সেটাও সম্ভব। এমনকি স্যার আর স্টুডেন্ট দুই পক্ষই স্ক্রিন সেয়ার ও লেখার ব্যবস্থাও আছে। এছাড়াও অনলাইন সবসময় অফ লাইনের থেকে কম খরচের পাওয়া যায়। তাই যারা অফ লাইনে পড়াশোনা এই মূহুর্তে করতে সমর্থ নও অবশ্যই অনলাইনে পড়তে পারো।
৩. কোর্স ফিঃ খুব গুরুত্ত্বপূর্ণ বিষয়। প্রথমত একজন বেকার ছেলে মেয়ের পক্ষের কতটা খরচ সম্ভব সেটা আমরা সবাই কম বেশি জানি। সেটা যতটা কম করা যায় সেটা দরকার। কিন্তু খুব সাবধানে পা ফেলবে। ভেবে দেখো, সব কিছুর একটা খরচ আছে। তাই প্রতিষ্ঠান খুব বেশি লাভ না করলেও একটা নূন্যতম খরচ তোমার কাছে দাবী অবশ্যই করবে। কিন্তু যদি দেখো - খুব কম খরচে পড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে, মূলত অনলাইনে মানে হয়তো ১০০০ টাকায় ১ বছর বা ৩০০ টাকায় এক বছর সেখানে না যাওয়াই ভালো। কারন এইটা দুই ভাবে সম্ভব - একঃ কম ক্লাস দিয়ে, দুইঃ অনেক ছাত্র ছাত্রী ভর্তি নিয়ে। দুটোই তোমার জন্য ক্ষতিকর। কারন অনলাইনে কিন্তু যত খুশি ছাত্র ছাত্রী ভর্তি নেওয়া যায়, কিন্ত সেক্ষেত্রে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব না। খুব কম হলেও আমার মনে হয় ১ বছরের অনলাইন কোর্স ১০,০০০ থেকে ১২,০০০ টাকা আর ২ বছরের কোর্স ১৮,০০০ থেকে ২৫,০০০ টাকা হয়ে থাকে। আর অফ লাইনে ৪০,০০০ থেকে ১, ২৫,০০০ টাকা অবধিও হয়ে থাকে।
৪. প্রশিক্ষন কার্যক্রমঃ দেখে নাও কোর্সের সাথে কি কি দেওয়া হচ্ছে। স্টাডি মেটেরিয়ালস আছে কিনা, সিলেবাস ব্রেকআপ চেয়ে নেবে, মক টেস্ট কতগুলো নেওয়া হবে ইত্যাদি। এক্ষেত্রে অনেক প্রতিষ্ঠানে ক্লাস হয় কিন্তু সিলেবাস ব্রেক আপ নাই। সেটা অনলাইন বা অফলাইন দুই ক্ষত্রেই। তুমি বুঝতে পারবে না কোর্স কতটা কভার হয়েছে আর কতটা বাকি আছে। অনলাইনে কোর্স ল্যান্ডিং পেজে দেখে নেবে কোর্স মডিউল আদৌ আছে কিনা। সেই কোর্স সবথেকে ভালো মানা যেতে পারে যেখানে সিলেবাস ব্রেক আপ - স্টাডি মেটেরিয়াল ধরে পড়ানো হয়।
৫. প্রশিক্ষনের গুনগত মানঃ আজকাল Multiple Choice Questions বা MCQs মাধ্যমে পড়ানোর বা পড়ার একটা প্রচলন দেখা যাচ্ছে। মনে রাখবে বিষয়ের উপর সঠিক ধারনা না থাকলে, কেবলমাত্র MCQs পড়ে সাফল্য আসবে না। অবস্যই দেখে নেবে তোমার প্রতিষ্ঠান কনসেপ্ট ধরে পড়াচ্ছে কিনা। নতুন সিলেবাস Descriptive হোক বা নাই হোক, ২ থেকে ৫ লাইনের উত্তর লেখা প্রাকটিস থাকা দরকার। এতে তোমার পড়া তৈরী হবে ভালো করে। দেখে নাও তোমার প্রতিষ্ঠান এই লেখা প্রাকটিস আর খাতা চেকিং এর ব্যবস্থা করছে কিনা।
৬. ইন্টারভিউ সহযোগিতাঃ প্রিলিমিনারি আর মেইন পরীক্ষার প্রস্তুতির পাশাপাশি ইন্টারভিউ এর জন্য প্রশিক্ষন দরকার। খালি মক ইন্টারভিউ না, বরং তার অনেক আগে থেকে ইন্টারভিউ এর ক্লাস। এটা দরকার কারন, মক দেওয়ার আগে আমাদের জানতে হবে, কি প্রশ্ন আসতে পারে, কোন কোন তথ্য না থাকলে ইন্টারভিউতে আত্মবিশ্বাস কিছুতেই আসবে না, কিছু জটিল psycholgical প্রশ্নের উত্তর কি হবে সেটা আগে থেকে জানা খুবই দরকার। তবে বলা ভালো মক ইন্টারভিউ অনলাইনের থেকে অফ লাইনে ভালো হয়। যদি তুমি অনলাইনে প্রশিক্ষন নাও, জিজ্ঞেস করে নাও তারা অফলাইন ইন্টারভিউ মক প্রদান করবে কিনা।
তোমরা যদি চাও অনলাইনে সেরা কোর্স - তাহলে
ClassOne Achievers Course একবার দেখে নিতে পারো। যদি ভালো লাগে অবস্যই সাবস্ক্রাইব করে নিতে পারো।