There are no items in your cart
Add More
Add More
Item Details | Price |
---|
Wed Aug 30, 2023
The Uniform Civil Code বা সাধারণ দেওয়ানি বিধি-র লক্ষ্য হলো জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের জন্য একটি অভিন্ন আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা। ভারতীয় সংবিধানের চতুর্থ অধ্যায় উল্লিখিত নির্দেশমূলক নীতির 44 নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে যে, “রাষ্ট্র ভারতের সমগ্র অঞ্চল জুড়ে নাগরিকদের জন্য একটি অভিন্ন নাগরিক বিধি সুরক্ষিত করার চেষ্টা করবে” (The State shall endeavour to secure for the citizens a uniform civil code throughout the territory of India.)। আজকের আলোচনা এমন একটি প্রবন্ধ যা অভিন্ন দেওয়ানি বিধির প্রাসঙ্গিকতা, ব্যক্তিগত আইনের ত্রুটি এবং ভারতের সংখ্যালঘুদের ওপর এর প্রভাবকে আলোকিত করে। যদি সাধারণ দেওয়ানি বিধির (Uniform Civil Code) লক্ষ্য হয় দীর্ঘকালের প্রচলিত প্রথার আনুগত্য দূর করে জাতীয় সংহতিকে উন্নীত করা, তবে কোন সম্প্রদায় কি তাদের ঐতিহ্যের উপর ছাড় দিতে রাজি হবে ?
Political bias: The Uniform Civil Code:-
সম্প্রতি 27 জানুয়ারি, প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী মধ্যপ্রদেশে ভোট নির্ভর (Poll- Bound) ভাষণে “সাধারণ দেওয়ানি বিধি” সম্পর্কিত আলোচনাকে জোরদার করে এবং এটির সম্ভাব্য বাস্তবায়নের বিষয়ে দেশব্যাপী বিতরকের সূত্রপাত করে। শীঘ্রই 8-ই জুলাই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি ঘোষণা করেন যে, সাধারণ দেওয়ানি বিধি সম্পর্কিত তথ্য তাঁর খসড়া কমিটির জমা দিলে রাজ্যে প্রয়োগ করা হবে।।
2024 সালের সাধারণ নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসাবে সাধারণ দেওয়ানি বিধি আইনে শ্রী নরেন্দ্র মোদির দৃঢ় অবস্থান এই যে, “সাধারণ দেওয়ানি বিধি”-কে বাস্তবায়ন করা এবং ব্যক্তিগত আইন যেমন- বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ, এবং উত্তরাধিকার সংক্রান্ত আইন বাতিল করার জন্য বিজেপি একটি দীর্ঘস্থায়ী এজেন্ডা কে প্রতিফলিত করবে।
সাধারণ দেওয়ানী বিধির সমর্থকরা যুক্তি দেন যে, এটি জাতীয় একত্রিকরণ (National Integration) এবং লিঙ্গ সমতাকে (Gender Equality) উৎসাহিত করে। যাই হোক উদ্বেগ উত্থাপিত হয়েছে যে, এর প্রয়োগ রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার এবং তাদের স্বতন্ত্র অনুশীলনগুলিকে লংঘন করতে পারে। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী শ্রী স্টালিন উল্লেখ করেছেন যে, একটি অভিন্ন জাতি অগত্যা একটি ঐক্যবদ্ধ জাতিকে বোঝায় না এবং অনেকে বিশ্বাস করবে যে সাধারণ দেওয়ানি বিধি অ-জ্ঞানযোগ্য হওয়া সত্ত্বেও সহনশীলতার সীমানা ক্ষয় করবে।
“সাধারণ দেওয়ানি বিধি”-র প্রস্তাবটি গো্ঁড়া হিন্দু, মুসলিম, শিখ এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছে, যাদের রীতিনীতি ব্রিটিশ শাসনের সময় থেকে অস্পৃশ্য রয়ে গেছে। এমনকি সংবিধানের প্রণেতারাও এটির উদ্ভূত সমস্যা সমাধান করতে অক্ষম ছিলেন, তবে বিচক্ষণতার সাথে তাঁরা এটি কে মৌলিক অধিকারের পরিবর্তে রাষ্ট্রীয় নির্দেশমূলক নীতিতে অন্তর্ভুক্ত করেছেন।
ভারতীয় সংবিধান প্রণয়নের সময় গণপরিষদে আলোচনা প্রসঙ্গে “অভিন্ন দেওয়ানি বিধি” বিষয়টিকে বিতর্কিত বিষয়ের মধ্যে খুঁজে পাওয়া যায়। ডঃ আম্বেদকর সহ গণপরিষদের অনেক সদস্য বিশ্বাস করতেন যে, লিঙ্গ সমতা, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং জাতীয় একত্রিকরনের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানী বিধির প্রয়োজন। যাই হোক, নাজির উদ্দিন আহমেদ সহ বেশ কিছু সদস্য এই অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বিপক্ষে ছিলেন এবং তারা দাবি করেছিলেন যে, তাদের সম্মতি ছাড়া বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় আইন লংঘন করা উচিত নয়। তাদের প্রাসঙ্গিক যুক্তি অনুযায়ী, ভারত একটি বৈচিত্র্যময় দেশ যেখানে বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত আইন অনুসরণ করে, যা এই “অভিন্ন দেওয়ানি বিধি”-র বাস্তবায়নকে জটিল করে তুলেছিল। উদাহরণস্বরূপ, বেশিরভাগ ধর্মের উত্তরাধিকার আইন একটি “আন্তঃরাজ্য” ব্যক্তির পুরুষ সন্তানদের প্রতি তীর্যক। মুসলিম মহিলাদের জন্য বৈধ বিবাহ যোগ্য বয়স অন্যদের থেকে আলাদা। যদিও কিছু ধর্মীয় এবং প্রথাগত ব্যক্তিগত আইন বহুবিবাহ এবং বহুপতিত্বের অনুমতি দেয়, যেটা অন্যরা দেয় না। একইভাবে, বিভিন্ন ধর্মীয় আইনে বিবাহ, বিবাহ বিচ্ছেদ ও ভরণপোষণের ভিত্তি ভিন্ন।
Debate on Uniform Civil Code:-
একটি অভিন্ন দেওয়ানী বিধির জন্য বিতর্ক ভারতে উপনিবেশিক সময়কাল থেকে শুরু হয়। প্রাক স্বাধীনতা (উপনিবেশিক যুগ), 1840 সালের লেক্স লকি তথ্য অনুযায়ী, অপরাধ, প্রমাণ ও চুক্তি সম্পর্কিত ভারতীয় আইনে দেওয়ানী অভিন্নতার গুরুত্ব এবং প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেওয়া হয়। তবে সংশ্লিষ্ট আইনে আরো সুপারিশ করা হয় যে হিন্দু ও মুসলমানদের ব্যক্তিগত আইন গুলিকে এই জাতীয় সংহীতার বাইরে রাখা উচিত এবং 1859 সালে মহারানীর ঘোষণাপত্র এটিকে ধর্মীয় বিষয়ে নিখুঁত অ-হস্তক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দেয়। উত্তর ঔপনিবেশিক যুগে সংবিধানের খসড়া তৈরীর সময় জহরলাল নেহেরু এবং ডঃ আম্বেদকরের মত বিশিষ্ট নেতারা গণপরিষদে অভিন্ন নাগরিক বিধির জন্য চাপ দিয়েছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের চিন্তা ভাবনাকে বাস্তবায়ন করা সম্ভবপর হয়নি।
Arguments for Uniform Civil Code:-
মধ্য প্রদেশ রাজ্যে বুথ স্তরের কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী অভিন্ন দেওয়ানী বিধি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে বলেছিলেন যে, কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিরা অভিন্ন দেওয়ানি বিধির মাধ্যমে অন্যদের উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করছে। সাধারণ দেওয়ানি বিধির প্রতি তার সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, এক ই ভূখণ্ডে বিভিন্ন পরিবারের সদস্যদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন আইন বা নিয়ম প্রয়োগ করা হলে একটি পরিবারের মসৃণ কাজ কর্মের সাথে আপোষ করা হতে পারে। কিভাবে একটি জাতি কার্যকর ভাবে এই ধরনের দৈত্ববাদী পদ্ধতির সাথে কাজ করতে পারে? এটা মনে রাখা ভীষণ দরকার যে ভারতীয় সংবিধানও সুস্পষ্ট ভাবে সকল নাগরিকের জন্য সমান অধিকারের ধারণাকে সম্বোধন করে। কেন্দ্রীয় সরকার বিশ্বাস করে যে ধর্মের মূলে থাকা ব্যক্তিগত আইন গুলি জাতির ঐক্যের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তবে যাই হোক, এটি জোর দিয়ে বলা যেতে পারে যে সাধারণ দেওয়ানি বিধির বাস্তবায়ন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য একটি ভাগকরা প্লাটফর্ম প্রতিষ্ঠা করে ভারতের একত্রীকরণকে উন্নীত করবে।
সংবিধান রক্ষার দায়িত্বে থাকা ভারতের সুপ্রিম কোর্ট দেশের প্রত্যেকের জন্য ব্যক্তিগত আইনের একটি আনুষাঙ্গিক অংশসমূহ না থাকায় অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।। ব্যক্তিগত আইন সংক্রান্ত মামলার রায়দান সময়কালে এমন ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছে। প্রস্তাবিত বিভিন্ন মামলার রায় দান প্রসঙ্গে, যেমন- 1985 সালে বিখ্যাত শাহবানু মামলায় (Shah Bano Case) সুপ্রিম কোর্ট সাধারণ দেওয়ানি বিধিকে বহল রাখতে বলেছে। আবার 1995 সালে সরলা মুদগাল এবং 2019 সালে পাউলো কৌতিনহো বনাম মারিয়া লুুইয ভ্যালেন্তিনা পেরিলা মামলা (The Paulo Coutinho vs Maria Luisa Valentina Pereira Case) উভয় ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট একই কথা বলেছে। তবে, উল্লিখিত মামলাগুলির মধ্যে অন্যতম হিসাবে মোহাম্মদ আহমেদ খান বনাম শাহবানু বেগম, যেখানে সুপ্রিমকোর্ট একটি সংক্ষুব্ধ অ-মুসলিম তালাপপ্রাপ্ত মহিলার ভরণপোষণের পক্ষে রায় জারি করেছিল। আদালত সংশ্লিষ্ট মামলার রাজধানীর সময় ভারতে সাধারণ দেওয়ানি বিধির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন। আদালত এ প্রসঙ্গে বলেন, একটি সর্বজনীন দেওয়ানী বিধি জাতীয় একত্রিকরণকে সমর্থন করবে এবং পরস্পর বিরোধী জাতীয় আনুগত্য কে দূর করবে। দেশের জনগণের জন্য একটি অভিন্ন দেওয়ানি বিধি প্রাপ্ত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের এবং নিঃসন্দেহে এ বিষয়ে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা রাষ্ট্রের রয়েছে। শাহবানু মামলা, বিচারপতি শ্রী চন্দ্রশেখর দুঃখ প্রকাশ করে বলেছিলেন যে, সংবিধানের ৪৪ নং অনুচ্ছেদটি একটি মৃত চিঠি হিসাবে রয়ে গেছে, কারণ দেশের জন্য একটি অভিন্ন সাধারণ আইন প্রণয়নের কোন সরকারি কার্যকলাপের প্রমাণ নেই। তিনি চেয়েছিলেন, সংবিধানের কোনো অর্থ থাকলে সেই দিক থেকে শুরু করা হোক। আবার, কেশবানন্দভারতী মামলায় প্রধান বিচারপতি এস.এম সিকরী-র মতে, কোন আদালত সরকারকে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি প্রণয়ন করতে বাধ্য করতে পারে না। কিন্তু প্রসঙ্গক্রমে তিনি এটাও বলেছিলেন যে একটি সাধারন দেওয়ানী বিধি অখন্ড এবং ঐক্যের স্বার্থে অপরিহার্যভাবে কাম্য।
2023 সালে জানুয়ারিতে সুপ্রিম কোর্ট অভিন্ন দেওয়ানি বিধির বাস্তবায়ন পরীক্ষা করার জন্য একটি কমিটি গঠন করে রাজ্যগুলির সাংবিধানিক এক্তিয়ার কে বহাল রাখে। এ জাতীয় কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে উত্তরাখণ্ডের সরকারের পদক্ষেপ কে আদালত অনুমোদিত বলে গণ্য করা হয়েছে। 2023 সালের মার্চ মাসে সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল যে সংসদের উচিত অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সম্পর্কিত বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া, আদালত আইনসভা কে জোর দিয়ে আইন প্রণয়নের নির্দেশ দেবে না।
________________________
Important Questions:
Q. What is the Uniform Civil Code all about?
Q. What is the Supreme Court‘s observation on Uniform Civil Code?
Q. Why has Uniform Civil Code been patchy across religion and caste?
Q. Which State and Union Territories has/ have adopted Uniform Civil Code?
Q. How did the recent furore over the Uniform Civil Code start ?
Q. What are the people opposed to the Uniform Civil Code saying?
Q. What are the arguments in favour of the Uniform Civil Code?
Q. What are the difficulty for implementing Uniform Civil Code in India?
{{Prosenjit Saha}}
Teacher, Political Science